তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত ফোরাম। প্যানেলটি থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ জন পরিচালক পদে জয়ী হয়েছেন। স্বাধীনতা পরিষদের কোনো প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি।সম্মিলিত ফোরামের প্যানেলপ্রধান হিসেবে রুবানা হক বিজিএমইএর পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন। নবনির্বাচিত ৩৫ পরিচালক আগামী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের নতুন সভাপতি ও সাতজন সহসভাপতি নির্বাচিত করবেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ২০ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করবে।নির্বাচনে জয়ী পরিচালকরা হলেন রুবানা হক, এসএম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এমএ রহিম, কেএম রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, একেএম বদিউল আলম, মিরান আলী, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম।এ প্যানেল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিজয়ীরা হলেন মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এএম চৌধুরী, এএম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।বিজিএমইএর পরিচালক পদের সংখ্যা ৩৫। তবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে নয়জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় গতকাল ঢাকা অঞ্চলের ২৬ পরিচালক পদে ভোট হয়। ২৬ পরিচালক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দুই প্যানেলের ৪৪ প্রার্থী। এর মধ্যে সম্মিলিত ফোরামের ২৬ ও স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ জন।গতকাল ঢাকা ও চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হয়েছে।নির্বাচন বোর্ডের সদস্য নিহাদ কবির বলেন, নির্বাচনে ভোট পড়েছে ঢাকায় ১ হাজার ২০৪ ও চট্টগ্রামে ২৮৮টি। এর মধ্যে বৈধ ভোট ঢাকায় ১ হাজার ১২২ ও চট্টগ্রামে ২৭১টি। অর্থাৎ বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৩। আর বাতিল হয়েছে ৯৯টি।নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সম্মিলিত ফোরামপ্রধান রুবানা হক বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, অনেক দিন পর অনেক ভোটারকে আমরা একসঙ্গে দেখলাম। অনেকে অসুস্থ ছিলেন, মুরব্বি ছিলেন, তারাও এসেছেন। আমি প্রত্যেক ভোটারকে অভিনন্দন জানাই। আমার ও আমাদের সবার জন্য সবচেয়ে আনন্দের যে এবার সম্মিলিত, ফোরাম, স্বাধীনতা পরিষদ একসঙ্গে ভোট করেছি। একটিই কারণ সেটি হলো আমরা সবাই এখানে শিল্পের খাতিরে একজোট হয়েছি। এ নির্বাচনে ভোটারের জয় হয়েছে। প্রত্যেকের স্বার্থ রক্ষা করে আমরা যেন সংগঠন পরিচালনা করতে পারি, সেজন্য আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন, বিশেষ করে গণমাধ্যমের বন্ধুরা।স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকেই। আমাদের একটা প্রতিশ্রুতি ছিল, যারাই জিতুক যারাই হারুক, আমরা মেনে নেব। আমাকে ডাকা হলে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করব, সহযোগিতা করে যাব।বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান বিদায়ী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল অপ্রত্যাশিত। ভোট পড়েছে প্রায় ৭৬ শতাংশ। সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এই প্রথম একজন নারী বিজিএমইএ পরিচালনা করতে যাচ্ছেন। আমি মনে করি, আমাদের সামনে যারা আছেন, সবাই আপনারা তাকে সহযোগিতা করবেন। তার প্রতি রইল আন্তরিক শুভকামনা।

Source: bonikbarta.net  Link to the Original Article